সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : পরশি যুবকের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত মা,ঘটনার কথা জেনে যাওয়ায় সাত বছরে শিশুকে অপহরন করে খুন,অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ।
বাঁশবেড়িয়া চুরি মহল্লার বাসিন্দা শবনম বিবি গ্যাঞ্জেস জুটমিলের শ্রমিক।তার স্বামী নেই।সম্প্রতি প্রতিবেশি যুবক সেখ রাজুর সঙ্গে তার অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রাজুর সঙ্গে তার মাকে ঘনিষ্ঠ হতে দেখে ফেলে ছোট্ট রমজান।গত ২৫ তারিখ রমজানকে খেলার নাম করে বাড়ি থেকে নিয়ে যায় রাজু।তাকে খুঁজে না পেয়ে বাঁশবেড়িয়া কলবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ করে শিশুর পরিবার ও প্রতিবেশিরা।মগড়া থানার পুলিশ খোঁজাখুঁজি শুরু করে।শিশুর মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে রাজুর কথা জানতে পারে পুলিশ।রাজু ঘটনার পর থেকে এলাকা ছাড়া ছিল।সে হাওড়া সাঁকারাইলে পালিয়ে গিয়েছিল।সেখান থেকে পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে আসে। পুলিশের কাছে রমজানকে খুনের কথা কবুল করে রাজু।সে জানায় মায়ের সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা লোককে বলে দেবে এটা ভেবেই রমজানকে অপহরন করে সে।তারপর ব্যান্ডেলে চুনুমিঞা গঙ্গার ঘাটের কাছে নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে গলা টিপে খুন করে ঝোপের মধ্যে ফেলে দেয়।পুলিশ মঙ্গলবার রাতে অভিযুক্ত সেখ রাজুকে চুনুমিঞার ঘাটে নিয়ে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে।হুগলি গ্রামীন পুলিশের ডিএসপি ক্রাইম দেবী দয়াল কুন্ডু জানান,প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে শিশুটির মায়ের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল সেই কারনেই খুন করা হয়েছে শিশুটিকে।গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযুক্তকে ধরে।তাকে পুলিশ রিমান্ড নিয়ে আরো জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।এর পিছনে আর কি কি আছে,শিশুর মায়ের ভূমিকাই বা কি ছিল তা তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছে তদন্তকারীরা।বাঁশবেড়িয়া শিশু খুনে অভিযুক্ত সেখ রাজুকে গ্রেফতারের পাশাপাশি শিশুর মাকে আটক করে জেরা করছে পুলিশ। দুদিন নিখোঁজ থাকার পর গতকাল রাতে ব্যান্ডেল চুনুমিঞার ঘাটের পাশের ঝোপ থেকে উদ্ধার হয় মৃতদেহ। শিশুকে খুন করে সেখানে ফেলে দিয়েছিল অভিযুক্ত সেখ রাজু।তাকে গ্রেফতারের পর পুলিশি জেরায় উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।বাঁশবেড়িয়ার চুরি মহল্লায় প্রতিবেশি যুবকের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জরিয়ে পরে শবনম বিবি।শবনমের সাত বছরের ছেলে সেখ রমজান তাদের সম্পর্ক টের পায়।বদনাম হবে এলাকায়, ভয় পেয়ে যায় বিবাহিত রাজু।রমজানকে সাইকেলে চাপিয়ে নিয়ে গিয়ে গলা টিপে খুন করে ঝোপে ফেলে দেয়।একথা পুলিশের কাছে নিজেই কবুল করে রাজু।শবনমের মা ও প্রতিবেশিরা জানায় রাজুর যাতায়াত ছিল শবনমের ঘরে।রমজানকে সরিয়ে দেবার পরিকল্পনা একা রাজুরই ছিল নাকি শবনমের কোনো ভূমিকা ছিল তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে।এই ঘটনায় স্তম্ভিত বাঁশবেড়িয়া চুরি মহল্লা। একটা সম্পর্কের জেরে ছোট্ট শিশুকে এই ভাবে খুন করা হবে সেটা মেনে নিতে পারছেন না কেউ।দোষীর উপযুক্ত শাস্তির দাবী করেছেন তারা।চোদ্দ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়ে ধৃত সেখ রাজুকে আজ চুঁচুড়া আদালতে পাঠায় মগড়া থানার পুলিশ।